শীতের শুভ্র শিউলির ঘ্রাণের সাথে হিমেল শীতের ছোঁয়া নিয়েই দিগন্ত বিস্তৃত চতুর্দিকে সোনালী সবুজ ফসলের ক্ষেত দানা বাঁধতে শুরু করেছে নতুন ধানে। এমনকি অনেক স্থানে নবান্ন উৎসব ও চলছে। তেমনি করে চলতি শীত মৌসুমে ভাপাপিঠার সাথে সে খেজুর রসের ঐতিহ্য গ্রামাঞ্চলের লোকজনদের কাছ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। দেখাও মেলে না কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও এলাকার খেজুর গাছের রস নিতে গাছিদের ব্যস্ত সময়। সবই যেন গ্রাম বাংলার সোনালী ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্য দাদাদাদি কিংবা নানানানীর মুখে রূপকথার মত শোনা গেলেও এখন সেসব ঐতিহ্য বিলুপ্ত বললেই চলে। এছাড়া বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ৬ ইউনিয়ন- ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী ও ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চোখে পড়ে না চলতি মৌসুমে কনকনে শীতে ভোর থেকে আরম্ভ করে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেজুর গাছের উপরে হাড়ি বেঁধে খেজুর রস আহরণ করা। এতে বুঝা যাচ্ছে খেজুর রস না থাকার ফলে গ্রামাঞ্চলের আবাল বৃদ্ধ বণিতার মাঝে শীত বার্তায় ভাপা পিঠার সাথে খেজুর রস কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন এসে খেজুর রস নিয়ে পিঠা পায়েস কিংবা শীতের সকল পিঠা তৈরি করে নবান্ন অনুষ্ঠান পালন করে থাকত এখন সেটাও বিলুপ্ত প্রায়।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর পূর্বে বৃহত্তর এলাকার অজগা পাড়ার বয়োবৃদ্ধ লোকজন খেজুর রসের মিষ্টি গন্ধ আশপাশের সকলকে মুগ্ধ করে দিত বলে লোকমুখে শোনা যায়। এখন শীতের সকালে এসব উপভোগ করতে গ্রামাঞ্চলের লোকজন সমস্ত কিছু উজাড় করে সে ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারেনা দূর্বাঘাষের উপর থাকা শিশির বিন্দুর কণা আর খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধ। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছ আর তেমনি চোখে পড়ে না।
পাঠকের মতামত: